আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সুরাট, গুজরাটের সাথে সম্পর্কিত একটি বৃহৎ ক্রিপ্টোকরেন্সি আর্থিক প্রতারণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান অপারেটররা বাংলাদেশী নাগরিকরা, যারা অপরাধ সংঘটনের পর দেশে পালিয়ে গেছেন।
বর্তমানে কী জানা গেছে?
কলকাতা ও সুরাট পুলিশের আধিকারিকরা একটি প্রতারণার চক্র ফাঁস করেছেন, যেখানে দুষ্টাচারীরা স্থানীয় নাগরিকের সাহায্যে নিবন্ধিত Zingopay India Private Limited কোম্পানির মাধ্যমে লাভজনক ক্রিপ্টো ট্রেডের ছলাকা দেখিয়েছিল। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিনিয়োগকারী ১৫০ কোটিরও বেশি রুপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কীভাবে কাজ করত প্রতারণার পদ্ধতি?
তারা ক্রিপ্টো-অ্যাপসের মাধ্যমে ছোট ছোট লেনদেন করে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করছিল।
এর পর তারা বড় বড় পরিমাণ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি পেয়ে তারা জাল পরিশোধের প্রমাণ পাঠিয়ে প্রকৃত অর্থ প্রদান থেকে বিরত থাকত।
ক্ষতির পরিধি এবং প্রভাব:
দুইটি প্রধান অভিযোগে আনুমানিক ৪ কোটি রুপি ছাড়িয়ে ক্ষতি হয়েছে।
মোট সন্দেহভাজন লেনদেনের পরিমাণ ১৫০ কোটি রুপিরও বেশি।
হাজার হাজার বিনিয়োগকারী বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এই ঘটনা ক্রিপ্টোকরেন্সি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কঠিন সতর্কবার্তা: সতর্ক থাকুন, অংশীদারদের ভালোভাবে যাচাই করুন এবং যাচাইপ্রাপ্ত প্ল্যাটফর্মের বাইরে কোনো সন্দেহজনক প্রস্তাবে বিশ্বাস করবেন না।
যদি আপনি ক্রিপ্টো প্রতারণার সন্দেহ পান, তাৎক্ষণিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
অর্থনৈতিক সচেতনতা ও সাবধানতা—আপনার প্রধান সুরক্ষা!
